Style Options
ল্যাব সহকারি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ   |  HSC(জেনারেল) ২য় বর্ষ টিউটোরিয়াল পরীক্ষার রুটিন   |  রোভার স্কাউট ও গার্ল ইন রোভারে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি   |  ডিগ্রি/ অনার্স কোর্সের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আবেদন প্রসঙ্গে।  |  ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩   |   ডিগ্রি (পাস) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আবেদন দাখিলের বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ ।  |  ১০৩ জন্মবার্ষিকী  ও জাতীয় শিশু ‍দিবষ ২০২৩ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন   |  ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি :  |  শ্রী শ্রী দূর্গাপূজা, পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী ও প্রবারনা পূর্নিমা উপলক্ষ্যে ছুটির নোটিশ  |  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিসপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার কলেজ বন্ধের নোটিশ।  |  উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষ (মানবিক /ব্যবসায় শিক্ষা/বিজ্ঞান) শাখার বার্ষিক পরীক্ষার রুটিন-২০২২  |  উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষ (মানবিক /ব্যবসায় শিক্ষা/বিজ্ঞান) শাখার প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার রুটিন-২০২২  |  উচ্চ মাধ্যমিক(বি ,এম) প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা-2022 এর সময়সূচী  |  ★ ৪ বছর মেয়াদি অনার্স কোর্সে রিলিজ স্লিপে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ★   |  শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আগামী ১৮-০৮-২০২২ খ্রি: তারিখ রোজ- বৃহস্পতিবার কলেজ বন্ধ থাকবে।  |  ১৫ আগষ্ট ২০২২ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর আংশিক পাঠ প্রতিযোগিতার ফলাফল-২০২২।  |  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকীতে ‘জাতীয় শোক দিবস-২০২২’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে রুহিয়া ডিগ্রি কলেজ কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচী:  |  কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তীর সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনের জন্য আগ্রহী ছাত্র/ছাত্রীদের নামের তালিকা জমাদান প্রসঙ্গে।  |  পবিত্র আশুরা (মহররম) উপলক্ষে ছুটির নোটিশ  |  রোভার স্কাউট দল গঠন প্রসঙ্গে  |  

পলাশীর যুদ্ধ

Picture

১। পলাশীর যুদ্ধ -
বাংলা- বিহার- উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে বৃটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মধ্যে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশী নামক স্থানে (মুর্শিদাবাদ পশ্চিম বঙ্গ, ইন্ডিয়া) পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয় ।

    এই যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্য সংখ্যা ছিল ৫০,০০০ । কামান ছিল মোট ৫৩ টি । ৫০,০০০ সৈন্যের মধ্যে প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলী খাঁ এর অধীনে ছিল ৪৫,০০০ সৈন্য এবং অবশিষ্ট ৫,০০০ সৈন্য ছিল মীরমদন, মোহনলাল ও ফরাসী সেনাপতি সিনফ্রে এর নেতৃত্বে ।
পলাশীর যুদ্ধ শুরু হলে প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলী খাঁ ৪৫,০০০ সৈন্য নিয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকে এবং গোপনে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীকে সহযোগীতা করতে থাকে । অবশিষ্ট ৫,০০০ সৈন্য নিয়ে মীরমদন, মোহনলাল ও ফরাসী সেনাপতি সিনফ্রে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকেন । ইংরেজ বাহিনীর গোলার আঘাতে মীরমদনের মৃত্যু হলে মোহনলাল ও সিনফ্রে মরনপণ যুদ্ধ করে বিজয় যখন প্রায় সুনিশ্চিত করেন , এমন সময় মীরজাফর নবাব সিরাজকে খবর দেন যে, যুদ্ধে তো আমরা প্রায়ই জিতেই গেছি, এখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে, রাতে কোন ঝুঁকি না নিয়ে আগামীকাল সকালে আমরা ইংরেজদের  পরাস্ত করবো । নবাব সিরাজ মীরজাফরের চালাকি বুঝতে না পেরে তাঁর কথায় সায় দিয়ে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেন । আর এরই সুযোগে মীরজাফরের পরামর্শে রাতের অন্ধকারে ইংরেজ বাহিনী নবাব সিরাজের ঘুমন্ত বাহিনীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে । এর মধ্য দিয়ে নবাব সিরাজের পরাজয় সুনিশ্চিত হয় । আর বাংলা দু’শত বছরের জন্য ইংরেজদের কাছে পরাধীন হয় ।
৩। বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত করার পিছনে যারা ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতায় মূখ্য ভূমিকা পালন করে  তাদের নাম ও করুন মৃত্যু:- 
নবাব সিরাজউদ্দৌলার আপন খালা মেহেরুন নেসা । যে ঘসেটি বেগম নামে অধিক পরিচিত । ঘসেটি বেগম মীরজাফরের সাথে হাত মেলালেও পলাশীর যুদ্ধের পর মীরজাফরের পুত্র মিরন, ঘসেটি বেগমকে নদীতে নৌকা ডুবিয়ে হত্যা করে । 
বিশ্বাস ঘাতক প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলী খাঁ ৭৪ বছর বয়সে কুষ্ঠ রোগে তার করুন মৃত্যু হয় ।
জগৎশেঠ নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী । মীরজাফরের ঘনিষ্ঠ সহচর জগৎশেঠ কিন্তু তাকে মীরজাফরের জামাতা মীর কাসেম প্রাসাদ থেকে গঙ্গায় ফেলে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে ।
রায় দূর্লভ :- রায়দূর্লভ ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম কিন্তু যুদ্ধের পর তাকে কারাগারে বন্দী করা হয় । কারাগারেই তার করুন মৃত্যু হয় ।
উমিচাঁদ:- বিশ্বাস ঘাতকদের মধ্যে একজন । যুদ্ধের পর সে পাগল হয়ে যায় এবং রাস্তায় মরে পড়ে থাকে ।
মীর কাসেম:-  মীরজাফরের জামাতা দিল্লীর রাস্তায় মরে পড়ে থাকে ।
ইয়ার লতিফ খাঁন :- ইয়ার লতিফ খাঁন একজন অন্যতম বিশ্বাস ঘাতক । যুদ্ধের পর সে নিরুদ্দেশ হয় । ধারনা করা হয় মীরজাফরের পুত্র মিরন তাকে হত্যা করেছে ।
মিরন :- মীরজাফরের পুত্র মিরন অসংখ্য কুকর্মের নায়ক । মেজর ওয়ালস তাকে গুলি করে হত্যা করে । তবে কথিত আছে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয় ।
মোহাম্মদী বেগ:-  নবাব সিরাজের বুকে ছুরি চালিয়ে নবাবকে হত্যা করে । পরবর্তীতে মাথা গড়বড় অবস্থায় কুয়ায় ঝাঁপ দিয়ে সে আত্মহত্যা করে ।
দানেশ শাহ :-  এই ফকির পুরস্কারের লোভে নবাব সিরাজকে ধরিয়ে দেয় । সাপের দংশনে এই ফকিরের মৃত্যু হয় ।
রবার্ট ক্লাইভ :- ইংরেজ বাহিনীর প্রধান । যুদ্ধের পর নিজ দেশে ফিরে গিয়ে অজ্ঞাত কারণে বাথরুমের ভেতর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করে ।